আশুগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতার পরকীয়া স্ত্রী বিমানবন্দরে পুলিশের হাতে আটক

আশুগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতার পরকীয়া স্ত্রী বিমানবন্দরে পুলিশের হাতে আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে হাসান জাবেদ
কানাডা থেকে ফিরেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বহুল আলোচিত পরকীয়া প্রেমী ফারজানা রতন সোনিয়া। বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হয়ে গেলেন শ্রীঘরে। আলোচিত সোনিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান রতনের সাবেক স্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিক আহমেদের পরকীয়া প্রেমিকা। বর্তমানে অবস্থান করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে।

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান রতনের স্ত্রী ফারজানা রতন সোনিয়া স্বামীর ঘরে থেকেই জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিক আহমেদের সঙ্গে পরকীয়ায় মত্ত হন। তাদের মধ্যেকার মোবাইলে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তার ভিত্তিতে ২০১৬ সালের জুন মাসে ঢাকার গুলশান থানায় আইসিটি আইনে মামলা করেন সোনিয়ার স্বামী আবদুল হান্নান রতন।

পরে মামলাটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়। ওই আদালতে মামলাটির চার্জ গঠন হয়। মামলায় তৌফিক ও সোনিয়া দু’জনকে আসামী করা হয়। গত ২২  ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় সোনিয়া কানাডা থেকে দেশে ফেরার পরই ঢাকায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের শ্রীরামপুরে গ্রামের বাড়ি হওয়ায় ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক সোনিয়াকে নবীনগর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

এর আগে স্বামী আবদুল হান্নান রতনকে হত্যা চেষ্টা মামলায় সোনিয়া ও তার পরকীয়া প্রেমিক জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ তৌফিক আহমেদকে গত ৩ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এসময় পাঁচশত টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত। রায় প্রদানকালে অনুপস্থিত থাকায় আদালত সোনিয়ার বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিগত ২০১৬ সালের ১ মে রাত ৯টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হান্নান রতনকে ঢাকার গুলশান এলাকার ১২১/১২২ নম্বর রোডের মাঝখানে তার সাবেক স্ত্রী সোনিয়া ও পরকীয়া প্রেমিক সৈয়দ তৌফিক আহমেদ হত্যার চেষ্টা করে। এসময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান রতন। এই ঘটনায় ওই রাতেই আবদুল হান্নান রতন বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। গুলশান থানা পুলিশ তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। গত ৩ ডিসেম্বর আদালত এই মামলার রায়ে ফারজানা রতন সোনিয়া ও তার পরকীয়া প্রেমিক সৈয়দ তৌফিক আহমেদকে কারাদণ্ড প্রদান করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর ১৯ দিনের মাথায় কানাডা থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বহুল আলোচিত পরকীয়া প্রেমী ফারজানা রতন সোনিয়া আটক হয়ে গেলেন শ্রীঘরে।

নবীনগর থানার পরিদর্শক (ওসি) আমিনুর রশিদ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোনিয়াকে পরদিনই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরন করে। এরপর বৃহস্পতিবার জামিনের জন্যে আবেদন করলে আদাত তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন